বাংলাদেশ বেতার , ঢাকা শুনতে থাকুন সবখানে সবসময়
বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হতে চাইলে এখনই নিবন্ধন করুন । নিবন্ধিত শিল্পীদের পরবর্তীতে কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য চিঠি দেয়া হবে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অর্ন্তগত বৃহত্তর কুমিল্লা সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী উর্বর জনভুমি। এ জনভুমির ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির লালন এবং বিকাশের লক্ষ্যে স্থাপিত হয় বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লা কেন্দ্রটি। ১৯৮৭ সালে স্থাপিত এ প্রেরণ কেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮ সালের ১৮ জুন, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান রিলের মাধ্যমে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র হিসেবে এখান থেকেই ২০০৯ সালের ১৫ মে কেন্দ্রের নিজস্ব অনুষ্ঠানের পরীক্ষামুলক সম্প্রচার এবং ১৩ জুন থেকে নিজস্ব অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুর– হয়। প্রথম দিন অনুষ্ঠান ঘোষনায় ছিলেন সোহেলী ইসলাম ও সংযুক্তা রায়। প্রচারিত হয় এ.আর মজুমদার শফি, সত্য রঞ্জন দাস, শেফাল মজুমদার, ফারিহা ফারাহি, আবুল কালাম আজাদ ও ডা. অধ্যাপক এ.বি.এম খুরশীদ আলম সহ স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা।
নিজস্ব অনুষ্ঠান সম্প্রচারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আবুল কালাম আজাদ, এমপি। প্রথম দিন হতে ৩১ মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা কুমিল্লা কেন্দ্রের নিজস্ব অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। ১ এপ্রিল ২০১৫ খ্রি. হতে আমাদের প্রচার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিট হতে সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত ৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। মিডিয়াম ওয়েভ ১৪১৩ কিলো-হার্জ এবং এফএম ১০৩.৬ ও ১০১.২ মেগাহার্জে অনুষ্ঠানমালা শুনতে পাওয়া যায়। এছাড়া সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান রিলে করা হয়। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় বিবিসির বাংলা অনুষ্ঠান এবং রাত ৯ টায় এন এইচ কে জাপান এর বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
নিজস্ব অনুষ্ঠানমালায় শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল ধরনের অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ সকল অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রথিতযশা শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, পেশাজীবি, বুদ্ধিজীবি ও বিশেষজ্ঞবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোর, নারী ও যুবসম্প্রদায়ের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সকল অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি কৃষ্টির চর্চা, বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষা, তথ্য ও বিনোদনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। বিশেষ দিবসে দিনব্যাপি বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হয়।