বাংলাদেশ বেতার , ঢাকা শুনতে থাকুন সবখানে সবসময়

প্রচারিত অনুষ্ঠান - খুলনা কেন্দ্র
  • এখন :

  • পরবর্তী :

সাংবাদ প্রচার সময়
  • ভোর ৬-৫০: আবহাওয়াবার্তা
  • সকাল ৭-০০: বাংলা সংবাদ
  • সকাল ৮-০০: ইংরেজী সংবাদ
  • সকাল ৯-০০: বাংলা সংবাদ

বাংলাদেশ বেতার খুলনা এর অনুষ্ঠান বিভাগে স্বাগতম

খুলনা বেতার ভবন

যে শব্দ জন্মেই সংগ্রামের বারুদ স্পর্শে গর্জে ওঠে, তার উচ্চারণে তেজ থাকবে। যে শব্দ স্বাধীন মাটির ঘ্রাণ পেতে উন্মুখ, তার উচ্চারণে দেশের কথা থাকবে। যে শব্দ প্রকৃতির ভাষা বুঝবে, তার তেজস্বী উপস্থাপনে থাকবে প্রাণের কথা, মানুষের কথা।
৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৭০। খুলনা।
শহরের বুক চিরে সরু রাস্তার গন্তব্য গল্লামারি। সেখানে দিনে দুপুরে মানুষের দেখা মেলা ভার। রাতে জোনাকির সাথে বসবাস। শব্দহীন চারপাশ। প্রকৃতি যেন নিঃশব্দের ভারে ভারাক্রান্ত। এই নীরবতার বিপ্রতীপ প্রকাশ ঘটেছিল খুলনা বেতারের শব্দ যাত্রায়। গল্লামারির ছোট্ট এক ভবন থেকে। জন্মের নব্বই দিনের শৈশবেই চারপাশের নিঃস্তব্ধতা খুন হলো পাকিস্তানী বাহিনীর অহর্নিশ বুলেটের চাপা ক্রোধে। আক্রোশের আগুনে বিধ্বস্ত হল গল্লামারির বেতার ভবন। দ্রোহের আওয়াজে শুধু নিজের ঠিকানা বাঁচিয়ে রাখার সে কী প্রাণান্তকর চেষ্টা! অবশেষে নিজের শক্তি বাড়াতে রংপুর বেতার কেন্দ্র থেকে ১ কিলোওয়াট শক্তির ট্রান্সমিটার সংস্থাপন করলো। নবযাত্রা শুরু হলো ১৯৭৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। শুরু হল ঢাকা কেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার। মাত্র মাস খানেকের ভেতর নিজের দক্ষতা আর সক্ষমতা তৈরি করে ফেললো খুলনা বেতার।

২৬শে মার্চ ১৯৭৩। খুলনা বেতার থেকে প্রচার শুরু হল নিজস্ব অনুষ্ঠান। সময়ের হিসেবে সামান্য ৫৫ মিনিট! অথচ কী অসামান্য প্রেরণা! কী মার্জিত প্রকাশ! চারপাশের প্রশংসা, মূল্যায়ন আর নিজের দায়বদ্ধতা থেকে নিজস্ব অনুষ্ঠানের ছায়া দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘ হল। ৫৫ মিনিট ছাড়িয়ে নিজেদের অনুষ্ঠান প্রচারের সময় দাঁড়ালো ৪ ঘন্টায়। তখনও খুলনা বেতারের শ্রোতা বাঁধা পড়ে ছিল ১০ মাইলের চৌহদ্দিতে। ১৯৭৫ এ আরো ১০ কিলোওয়াট শক্তির ট্রান্সমিটার সংযোজনের আয়োজন শুরু হল। ১৯শে এপ্রিল ১৯৭৬। ১০ মাইলের চৌকাঠ পেরিয়ে ৩৫ মাইলের শ্রোতার কানে পৌঁছালো খুলনা বেতার-আয়োজন। যে শব্দের যাত্রা শুরু হয়েছিল সত্তরের ডিসেম্বরে, সে এখন আরো পরিণত, শাণিত। যে শব্দের যাত্রা শুরু হয়েছিল গল্লামারির ছোট্ট ভবন থেকে সে ঠিকানা পেল শহরের প্রাণকেন্দ্রে। বাড়লো শক্তির প্রখরতা।

১লা জুলাই ১৯৭৯। সর্বাধুনিক ব্রডকাস্টিং হাউজ হিসেবে খুলনার বয়রায় গড়ে ওঠে বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক নির্মিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বেতার ভবন। স্টুডিও ৪টি। সেখানে সারাক্ষণ চলছে শব্দের ভাঁঁজে তথ্যের সন্ধি, স্বরের সঙ্গে সুরের কাব্যিক মাত্রা, মনের অচেনা গলিতে অযান্ত্রিক অনুভূতির উপস্থাপন। উৎকীর্ণ শ্রোতার সমান্তরাল যাত্রা। খুলনা বেতার থেকে উচ্চারিত প্রতিটি বাক্যের প্রতিধ্বনি যেন পূর্ণতা পায় একেকটি দৃশ্যকল্পে। সেখানে চিত্রিত হয় নির্মোহ দৃষ্টির ইতিহাস। মাইক্রোফোনে প্রাণ পায় পরিবেশের বেপরোয়া আর্তনাদ, প্রকৃতির পূর্বাভাস। বন্দি হয় ধর্মের খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে মানবিক সমাজের সচকিত উচ্চারণ। শ্রুতিমধুর বাক্যগঠন চিনিয়ে দেয় বাণিজ্যের সওদাগর থেকে চিলেকোঠার সেপাই জীবন। উপলব্ধির বৈচিত্র্য পূর্ণতা পায় দৃষ্টিপাতে। রূপায়িত হয় স্বাস্থ্যের মানচিত্র। এসবই খুলনা বেতারের নিত্যদিনের পরিবেশনা। পরিকল্পিত কাঠামো, নিখুঁত বুননে বাঁধা পড়ে শ্রোতার ইচ্ছেপূরণের প্রার্থনা। আয়োজনের আবশ্যিক উপাদান হয়ে ওঠে খেলা, তারুণ্য, বিজ্ঞান, কৃষির তত্ত্বতালাশ। অগণিত শ্রোতার কাঙ্খিত তথ্যের খোঁজে পাড়ি জমাতে হয় বিশ্বগ্রামে, দরজার ওপাশে। বিমূর্ত হয়ে ওঠে নারীর অন্দরমহলের ক্যানভাস। রচিত হয় শিশুদের আগামির মঞ্চকথা।

শ্রোতাদের ভালোবাসায় ঋদ্ধ খুলনা বেতার এখন পৌঁছে গেছে মানচিত্রের প্রান্তসীমায়। নওয়াপাড়ায় ১০০ কিলোওয়াটের ট্রান্সমিটার খুলনা বেতারের এসব অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে ১৯৮১ সালের ২৮শে এপ্রিল থেকে। বর্তমানে মধ্যম তরঙ্গে ও এফ. এম. ৮৮.৮ মেগাহার্জ তরঙ্গে। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যাপ্তি ৫০ ঘন্টা ৫০ মিনিট। যে সংস্কৃতি জীবন নির্মাণ করে তার বিরামহীন সম্প্রচারে দিনে দিনে শ্রোতাদের আগ্রহের শীর্ষবিন্দু ছুঁয়েছে খুলনা বেতার।


প্রথম কার্যক্রম শুরুঃ
০৪/১২/১৯৭০।
স্থান:
গল্লামারী,খুলনা (বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত)।
পুন: কার্যক্রম শুরু হয়ঃ
ভ্যানে রাখা ১কিঃওঃ ট্রান্সমিটার দ্বারা ২১/১২/১৯৭৩ তারিখ থেকে এবং জাপানের তৈরী ১০কিঃওঃ ট্রান্সমিটার দ্বারা ১৯/০৪/১৯৭৬ তারিখ থেকে ।
প্রচার ভবনঃ
খুলনা-যশোর রোড, নূরনগর, বয়রা, জিপিও-৯০০০
উদ্বোধনঃ
০১/০৭/১৯৭৯।
জমির পরিমানঃ
অফিস ২.৬৯ একর এবং আবাসিক ২.০০ একর।
ভবনসমূহঃ
প্রশাসনিক ভবন ১টি, ষ্টুডিও ভবন ১টি, টেকনিক্যাল ব্লক ভবন ১টি, এফ এম ভবন ১টি, সাব-ষ্টেশন ভবন ১টি, জেনারেটর ভবন ১টি, পুলিশ ব্যারাক ভবন ১টি, গাড়ী গ্যারেজ ভবন ২টি, পাম্প হাউজ ভবন ২টি, অভ্যর্থনা ও ক্যান্টিন ভবন ১টি, এসিপি ভবন ১টি, পুলিশ সেন্ট্রি পোষ্ট ৩টি।
----
১০০ কি:ও: মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটারটি উচ্চ শক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-৩, নওয়াপাড়ায় যশোরে অবস্থিত।
উদ্বোধন ২৮ এপ্রিল, ১৯৮১।
ফ্রিকোয়েন্সী ৫৫৮ কিলোহার্জ।

বর্তমান অধিবেশন প্রচার সময়:

ব্যান্ডের নাম প্রচার সময় অনুষ্ঠানের ধরন ফ্রিকুয়েন্সি
মিডিয়াম ওয়েভ (এ এম) প্রথম অধিবেশনঃ সকাল ০৬-৩০মিঃ থেকে সকাল ১০-০০মিঃ (শীতকালীন)
সকাল ০৬-০০মিঃ থেকে সকাল ১০-০০মিঃ (গ্রীষ্ম কালীন)
দ্বিতীয় অধিবেশনঃ বেলা ১২-০০মিঃ থেকে রাত ১১-১৫মিঃ
মিডিয়াম ওয়েভ এর নিজেস্ব অনুষ্ঠান ৫৫৮ কিঃহাঃ
এফ এম ৮৮.৮ মেগাহার্জ প্রথম অধিবেশনঃ
সকাল ০৬-৩০মিঃ থেকে দুপুর ০১-০০মিঃ (শীতকালীন)
সকাল ০৬-০০মিঃ থেকে দুপুর ০১-০০মিঃ (গ্রীষ্ম কালীন)
দ্বিতীয় অধিবেশনঃ
সন্ধ্যা ০৭-০০মিঃ থেকে রাত ১১-১৫মিঃ
এ এম এর নিজেস্ব অনুষ্ঠান ১০কিঃওঃ
এফ এম ১০০.৮ মেগাহার্জ ( নওয়াপাড়া) এফ এম ১০২ মেগাহার্জ প্রথম অধিবেশনঃ
সকাল ০৬-৩০মিঃ থেকে সকাল ১০-০০মিঃ (শীতকালীন)
সকাল ০৬-০০মিঃ থেকে সকাল ১০-০০মিঃ (গ্রীষ্ম কালীন)
দ্বিতীয় অধিবেশনঃ
দুপুর ০২-৩০মিঃ থেকে রাত ১১-১৫মিঃ
এ এম -এর নির্ধারিত অনুষ্ঠান। যথাক্রমে ১০ কিঃওঃ ও ১ কিঃওঃ
এফ এম ৯০.০ মেগাহার্জ প্রথম অধিবেশনঃ
সকাল ১০-১৫ মিঃ থেকে সকাল ১১-১৫ মিঃ
( প্রতি শুক্রবার)
দ্বিতীয় অধিবেশনঃ
সন্ধ্যা ০৭-৩০মিঃ থেকে রাত ১১-০০মিঃ
এন্টারটেইনমেন্ট অনুষ্ঠান ০৫ কিঃওঃ
  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রান্ডিং অনুষ্ঠান “শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ” ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার।
  • মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার।
  • জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ;মাদকের অপব্যবহার রোধ ও মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার।
  • ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার।
  • সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি প্রতিষ্ঠায় করণীয় নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার।
  • বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার।
  • সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা, জীবন্তিকা, জারি গান, কথিকা, শ্লোগান, স্পট, জিঙ্গেল খুলনা বেতার থেকে নিয়মিত সম্প্রচার করা হচ্ছে।
  • জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি
  • বিভিন্ন আঙ্গিকে তথ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান প্রচার।
  • সঙ্গীত শিল্পী/ গীতিকার/ সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্তিকরণ ।
  • উপস্থাপক/উপস্থাপিকা এবং আবৃত্তিকার হিসেবে তালিকাভুক্তিকরণ
  • শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তিকরণ
  • সংবাদ পাঠক-পাঠিকা হিসেবে তালিকাভুক্তিকরণ
  • নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি/ হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার
  • প্রেস রিলিজ/বিজ্ঞপ্তি প্রচার
  • বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরড অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে রাজস্ব আয়
  • নাট্যকার/নাট্যপ্রযোজক/নাট্যশিল্পী হিসাবে তালিকাভুক্তিকরণ
  • স্বাস্থ্য,শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক ফোন ইন প্রোগ্রামে শ্রোতাদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান
  • নির্ধারিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে নিয়মিত সঙ্গীত শিক্ষাদান
  • নির্ধারিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে নিয়মিত কোরআন শিক্ষাদান
  • বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিজ্ঞাপন প্রচার
  • বেতার শ্রোতাক্লাব নিবন্ধন ও ক্লাবভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ
  • সরকারি সংস্থাসমূহের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রচার
  • বেসরকারি ও কমিউনিটি রেডিওর কারিগরি বিষয়ে মন্ত্রনালয়কে সহায়তা করা
  • বেসরকারি রেডিও মনিটরিংয়ের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করা

২৭-০৪-২০১৪ ইং

সকল তালিকাভূক্ত শিল্পীদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে এখন থেকে তাদের সকল রেকর্ডিং শিডিউল,প্রচার শিডিউল সহ সকল তথ্য বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের ওয়েবে দেখা যাবে


  • Supervised by -
  • Director, Bangladesh Betar Dhaka
    31 Syed Mahbub Murshed avenue
    Sher-E-Bangla Nagar, Agargaon, Dhaka-1207.
  • Ph: +88-02-44813201
  • Ph : +88-02-44813202

  • Maintained by -
  • Mohammed Nasimul Kamal
    Director, Bangladesh Betar Dhaka
    Bangladesh Betar, 31 Syed Mahbub Murshed avenue
    Sher-E-Bangla Nagar, Agargaon, Dhaka-1207
    Ph: +88-02-44813204
  • E-Mail: info@betarprogram.org
২০২১-২০২২ © বাংলাদেশ বেতার - ঢাকা।