বাংলাদেশ বেতার , ঢাকা শুনতে থাকুন সবখানে সবসময়
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল কেন্দ্র, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বেতার অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার- এই প্রতিষ্ঠানের মূল দায়িত্ব।
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল কেন্দ্র এ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি চর্চা ও লালনে এবং একইসাথে জনস্বার্থ ও জাতীয় ইস্যুতে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ বেতারের ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যে বরিশাল কেন্দ্র অন্যতম। ধান, নদী, খাল এই তিনে বরিশাল। ধান, নদী, খাল সমৃদ্ধ-এ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন
ঘটাতে ১৯৯৯ সালের ১২ জুন (২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪০৬ বাংলা) বরিশাল বেতার কেন্দ্রটি একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমানে অনুষ্ঠান, প্রকৌশল ও বার্তা-এই তিন শাখার সমম্বয়ে এই দপ্তরের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ধানসিঁড়ি: ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, কচিকাঁচা: শিশু-কিশোরদের জন্য অনুষ্ঠান, তারুণ্য: তরুণদের জন্য অনুষ্ঠান,
অনন্যা: মহিলাদের জন্য অনুষ্ঠান, চাষবাস: কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান, ছোট পরিবার: জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক অনুষ্ঠান, জীবন জীবনের জন্য: শিশু ও নারী ও উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রমের অনুষ্ঠান,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান: মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার, অহংকারে চিরজাগ্রত এবং মুক্তিযুদ্ধ ও আজকের প্রজন্ম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ(ব্রান্ডিং) বিষয়ক অনুষ্ঠান-শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ,
জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৭ এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ক অনুষ্ঠান- উন্নয়নের সোপান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক অনুষ্ঠান-টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ,
শিক্ষার্থীদের আসর: বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যক্রমভিত্তিক অনুষ্ঠান, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান- ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং আইটি বিশ্ব, তথ্য অধিকার ও আমাদের অধিকার,
সরকারী বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান- পরশমনি, এসো কুরআন শিখি ও রমজানুল মুবারক, স্বাস্থ্য ও সম-সাময়িক বিষয়ক ফোন-ইন অনুষ্ঠান: জিজ্ঞাসা, সংগীত বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান- প্রিয় সুর প্রিয় গান,
খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান-খেলার মাঠে, আবহাওয়াবার্তা, জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিজ্ঞপ্তিসহ সরকারী কর্ম কমিশনের বিজ্ঞপ্তি, হারানো বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি। এছাড়া বিবিসি’র বাংলা অনুষ্ঠান প্রতিদিন এফ.এম. তরঙ্গে প্রচারিত হয়।
সদর দপ্তরের নির্দেশনানুয়ায়ী ঢাকা থেকে প্রচারিত জাতীয় অনুষ্ঠান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ও খেলার
ধারাবিবরণী প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। জাতীয় দিবস ও উৎসবাদিতে দিবসব্যাপি বিশেষ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়াও শ্রোতাদের কাছ থেকে এসএমএস,
ই-মেইল, ফেসবুক ও ডাকযোগে পাওয়া প্রশ্ন ও মতামতের জবাবদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের সাথে প্রতিনিয়ত সেতুবন্ধন রচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল কেন্দ্র হতে প্রতিদিন নিজস্ব অনুষ্ঠান এবং বিবিসি’র বাংলা অনুষ্ঠান ও ঢাকা কেন্দ্রের এফ. এম অনুষ্ঠান রীলে সম্প্রচারসহ মোট ১১(এগার) ঘন্টা অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়।
প্রতিদিন বেলা ১১-০৫ এবং বিকেল ০৩-০৫মিনিটে দু’টি স্থানীয় বাংলা সংবাদ প্রচারিত হয়। এই কেন্দ্রে ২০০৯ সাল থেকে এনালগ পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেকর্ডিং এবং এডিটিং এর কাজ শুরু হয়েছে।
ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে ১০ কিলোওয়াট মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটারের পরিবর্তে ২০(বিশ) কিলোওয়াট শক্তির মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটার প্রতিস্থাপন করা হয়। এর ফলে অনুষ্ঠান প্রচারের কারিগরি মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানুয়ারি, ২০১৩ সালে ১০(দশ) কিলোওয়াট শক্তির একটি নতুন এফ.এম. ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে ১০৫.২ মেগাহার্জে অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। ফলে শ্রোতাগণ রেডিও সেটের পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও
বেতার অনুষ্ঠান শুনতে পাচ্ছেন। মধ্যম তরঙ্গের পাশাপাশি এফ. এম. তরঙ্গেও অনুষ্ঠান প্রচার শুরুর পর থেকে শ্রোতা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭১ সালে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার’-ই আজকের বাংলাদেশ বেতার।
মহান স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এবং ‘বেতার সবার জন্য, সবসময়, সবখানে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেতার কর্মীগণ শ্রোতাদের কাছে তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক এবং সরকারের উন্নয়নমূলক
কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণমূলক অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বেতারের এই কর্মকান্ডে আপনার এবং সকলের সহযোগিতা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।