বাংলাদেশ বেতার সেবা নির্দেশিকা
বাংলাদেশ বেতারের সেবাগ্রহীতা
- শিক্ষিত - নিরক্ষর নির্বিশেষে সকল বয়সের, পেশার, শ্রেণীর শ্রোতাগোষ্ঠী।
- বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পী, কলা-কুশলী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, বৈজ্ঞানিক , চিকিৎসক, ধর্মীয় নেতা, পেশাজীবীসহ যারা বিভিন্নভাবে বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ও করতে চান ।
- সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া সংস্থা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ ।
- বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদক, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীগণ এবং তাঁদের এজেন্ট, যাঁরা সার্ভিস ও পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকেন বা করতে চান ।
- ব্যবসায়ী যাঁরা বেতারের সকল প্রকার যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও অন্যান্য দ্রব্যাদি সরবরাহ করে থাকেন।
শ্রোতারা বেতার অনুষ্ঠানগুলি কী কী আঙ্গিকে শুনতে পান
সংবাদ বুলেটিন, নিউজরীলে, কথিকা, আলোচনা, কথোপকথন, সাক্ষাৎকার, প্রামাণ্য প্রতিবেদন, ধারাভাষ্য, সরাসরি সম্প্রচার, গান, গীতিনকশা, গীতি আলেখ্য, নাটক, যাত্রা, স্পট ড্রামা, শ্লোগান, স্বাস্থ্যতথ্য, জিঙ্গেল, রেডিও ফিচার, ফোন-ইন-প্রোগ্রাম, জনগুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি/ঘোষণা, রেডিও কমেডি, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, সংগীতালেখ্য, উদ্ধুদ্ধকরণ ও সচেতনতামূলক গান, চিঠিপত্রের উত্তর।
প্রচার কার্যক্রমের ভাষা
বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার হয়। বহির্বিশ্ব কার্যক্রম থেকে বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি, আরবি ও নেপালি ভাষায় প্রতিদিন অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ বেতার প্রদত্ত বিনামূল্যে সেবা
নিখোঁজ ব্যক্তি সম্পর্কে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচারে করণীয় :
অসাবধানতা বশত: অনেকের প্রিয় সন্তান, শিশু-কিশোররা হারিয়ে গেলে সেক্ষেত্রে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায় ডায়েরী করতে হয়। ডায়েরীর কপিসহ বেতারের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে আবেদনপত্র প্রাপ্তির এক কর্মদিবসের মধ্যে বিনামূল্যে নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়। সম্ভব না হলে দু’ই কর্মদিবসের মধ্যে অবশ্যই প্রচার করা হয়। নির্ধারিত ফরম বিনামূল্যে বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন কেন্দ্র বা বাংলাদেশ বেতারের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোর নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংবাদও বাংলাদেশ বেতার প্রচার করে থাকে।
মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাচাঁতে রক্তদানের বিজ্ঞপ্তি প্রচারে করণীয় :
সংশ্লিষ্ট রোগীর রক্ত সঞ্চালনের জন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান/হাসপাতাল/বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত চাহিদাপত্রের কপিসহ বাংলাদেশ বেতারের যে কোন কেন্দ্রে রোগীর পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি সাদা কাগজে আবেদন করলে যথাসম্ভব শিঘ্র বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি :
পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রদত্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আই এস পি আর কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রকার জনগুরুত্বসম্পন্ন বিজ্ঞপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি, যানবাহনের সময়-সূচি, বিভিন্ন শহরের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠ^ান প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র/ইউনিটের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবরে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করলে যথাসম্ভব শিঘ্র তা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার জন্য করণীয় :
দেশের শহর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক সুপ্ত প্রতিভাবান শিল্পী রয়েছেন, বাংলাদেশ বেতার এসব প্রতিভাবান শিল্পীদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে প্রতিটি কেন্দ্র বছরে দু’বার কণ্ঠস্বর পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। এ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার মাধ্যমে বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়া যায়। তালিকাভুক্ত শিল্পীগণকে শ্রেণী অনুযায়ী বেতারের নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুসারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয় এবং সম্মানী প্রদান করা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়। কণ্ঠস্বর পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণতঃ গ-শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তালিকাভুক্ত শিল্পী হতে হলে করণীয় নিন্মে উপস্থাপন করা হলো:
সংগীত শিল্পী :
রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতের ক্ষেত্রে বেতার নির্ধারিত ১৫টি গান এবং শিল্পীর জানা ১৫টি গানের তালিকা প্রদান করতে হয়। এছাড়া দেশের ও আধুনিক গান ও পল্লী গানের ক্ষেত্রে শিল্পীর জানা ৩০টি গানের তালিকা আবেদন পত্রের সাথে যুক্ত করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র(যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
আবেদনপত্রে উল্লিখিত ঠিকানায় পত্র প্রেরণ করে কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়,
শিশুশিল্পীর ক্ষেত্রে উপানুচ্ছেদ (১)-এ বর্ণিত গানের তালিকা প্রদানের প্রয়োজন নেই।
তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সম্মানী প্রদান করা হয়।
নাট্যশিল্পী ও ঘোষক/ঘোষিকা :
আবেদনকরীকে কমপক্ষে এইচ এস সি বা সমমানের পরীক্ষায় উক্তীর্ণ এবং শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুকণ্ঠের অধিকারী / অধিকারিণী হতে হবে,
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র জমা দিতে হয়,
শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অভিভাবকদেও সম্মতিক্রমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষকের সুপারিশক্রমে শিশু-কিশোর শিল্পীরা আবেদন করতে পারে,
বছরে ২ (দুই) বার কণ্ঠস্বর পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সম্মানী প্রদান করা হয়।
সংবাদ পাঠক/পাঠিকা :
আবেদনকারী/আবেদনকারিণীকে কমপক্ষে এইচ এস সি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র(যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
আবেদনকরী/আবেদনকারিণীকে শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুকণ্ঠের অধিকারী / অধিকারিণী হতে হয়,
সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক/পরিচালক, বার্তা বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়,
আবেদনপত্রের ঠিকানা অনুযায়ি পত্র প্রেরণ করে কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য ৬ মাসের মধ্যে শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে সংবাদ পাঠক/পাঠিকাদের জানিয়ে দেয়া হয়,
বছরে ২ (দুই) বার কণ্ঠস্বর পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তালিকাভুক্ত শিল্পীদেরকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে সম্মানী প্রদান করা হয়।
গীতিকার :
নিজের লেখা ২৫টি গানের পান্ডুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হয়।
আবেদন করার ৬ মাসের মধ্যে নির্ধারিত বোর্ড কর্তৃক যোগ্যতা বিচার করে গীতিকার নির্বাচন করা হয় এবং নির্বাচিত গীতিকারকে সাথে সাথে পত্র দিয়ে জানানো হয়।
গান প্রচারের সংখ্যা অনুযায়ী গীতিকার নির্ধারিত হারে রয়েলিটি প্রাপ্য হন।
যে কোন কেন্দ্রে তালিকাভুক্ত গীতিকারের গান সকল কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হয়।
বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছাড়া অন্য কারও গান বেতারে প্রচার করা হয় না।
সুরকার ও বাদ্যযন্ত্রী :
আবেদনকারীর গানের সুর, তাল ও লয় সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হয়,
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
আবেদন করার সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে নির্ধারিত বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষা গ্রহণ করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয় এবং তাঁদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়।
সুরকারদের অডিশনের সময় তাৎক্ষণিকভাবে নতুন গানের সুরারোপ করতে হয়,
তালিকাভুক্ত সুরকাগণকে নির্ধারিত শিল্পী-সম্মানী কাঠামো অনুযায়ী সুর ও সঙ্গীত পরিচালনার সম্মানী প্রদান করা হয়।
নাট্যকার :
নিজের লেখা নাটকের পান্ডুলিপিসহ আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
নাটকের পান্ডুলিপি বেতারে প্রচার উপযোগী বিবেচিত হলে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে নাট্যকার হিসেবে তাািলকাভুক্ত করা হয়।
নাটক প্রচারের সময় ও সংখ্যা শ্রেণী অনুযায়ী নাট্যকারকে রয়্যালটি প্রদান করা হয়।
কথক/আলোচক :
শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয়,
উচ্চরণ ও উপস্থাপনা মানসম্মত হতে হয়,
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেতারে প্রচার উপযোগী পা-ুলিপি রচনায় সক্ষম হতে হয়,
পা-ুলিপি ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রদান করা হয়।
বেতারের সংশ্লিষ্ট প্রযোজক/পরিচালক সরাসরি কথক/আলোচকদের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন,
কোন বিশেষজ্ঞ বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চাইল তিনি নিজে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক/ইউনিট প্রধানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পরস্পরের মধ্যে আলোচনাক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়।
শিশুদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হলে :
শিশুকে বেতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে চাইলে শিশুকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে হবে।
তালিকাভুক্ত শিশু শিল্পী হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে কোন ফি/টাকা জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনের সাথে নাগরিকত্ব সনদপত্র, ২ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে) জমা দিতে হয়,
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য তালিকাভুক্ত শিশুশিল্পীদের নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রদার করা হয়।
তালিকাভুক্ত নয় এমন শিশুশিল্পীদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কচি-কাঁচার আসর/ছোট্টমণিদের আসরে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের প্রযোজক বরাবর পত্র লিখে অথবা সরাসরি যোগাযোগ করে সুযোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংগীত শিক্ষার আসরে অংশগ্রহণ করতে করণীয় :
শিশু কিশোরদেরকে সঙ্গীত বিষয়ে পারদর্শী করে তোলার জন্য বেতারে সঙ্গীত শিক্ষার আসর রয়েছে। অনুষ্ঠানে সংগীতে বিশেষ পারদর্শী ওস্তাদগণ সংগীতের তালিম দিয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি বেতারে প্রচার করা হয় এবং এতে শিশুকিশোররা অংশগ্রহণ করতে পারে।
বাংলাদেশ বেতারের সাথে পত্র যোগাযোগ :
কোন অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু, উপস্থাপনার মান, আঙ্গিক/কারিগরী মানসহ যে কোন বিষয়ে শ্রোতাদের মতামত বাংলাদেশ বেতার সর্বদা আহবান করে থাকে। এ ছাড়া শ্রোতারা কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক/পরিচালক অথবা সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের প্রযোজক বরাবর পত্র প্রেরণ করতে হয়। পত্রের উত্তর ২ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রচারিত চিঠিপত্রের জবাব অনুষ্ঠানে দেয়া হয়। একটি বিষয়ে একাধিক পত্র থাকলে শুধুমাত্র প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়।
বিভিন অনুষ্ঠানে পত্র যোগাযোগের ঠিকানা :
বেতারে পছন্দের গান শুনতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রযোজক বরাবর গানের প্রথম লাইন ও শিল্পীর নাম উল্লেখ করে পত্র/ ফ্যাক্স/ ই-মেইল করতে হয়।
বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ সেবা
কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা ও সকল আঞঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে মোট ৬৪টি বুলেটিন প্রতিদিন প্রচারিত হয়। সকল আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থানীয় সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। বাংলাদেশ বেতার থেকে দৈনিক প্রচারিত সংবাদ বুলেটিনের মধ্যে রয়েছে ৩৩টি প্রতিঘণ্টার সংবাদ, ঢাকায় ট্রাফিক চ্যানেলে (৯৭.৬ এফ এম) প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর ১৫টি সংবাদ শিরোনাম, ১টি ক্রীড়া সংবাদ, ১টি বাণিজ্য সংবাদ, ৭টি ইংরেজি সংবাদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্তানীয় ৩টি প্রধান উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ৩টি সংবাদ বুলেটিন প্রচারিত হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৫ মিনিট স্থিতির চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় এই সংবাদগুলি প্রচার করা হয় এবং তা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার কেন্দ্র থেকে রীলে করা হয়। বহির্বিশ্ব^ কার্যক্রমের প্রতিটি অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট সকল ভাষায় বুলেটিন প্রচারিত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতারের ওয়েবসাইটে সকাল ৭ টার বাংলা এবং সকার ৮ টার ইংরেজি সংবাদেও টেক্সট ভার্সন প্রতিদিন আপডেট করা হয়। স্থথানীয় সংবাদ, ক্রীড়া সংবাদ ও বাণিজ্য সংবাদ ব্যতীত সকল বুলেটিনে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য জাতীয়, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ও আবহাওয়ার খবর বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে প্রচারিত হয়। এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগীতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সপ্তাহে একবার প্রতি সোমবার বাংলা ও ইংরেজিতে ১৫ মিনিটব্যাপী সার্ক বুলেটিন প্রচার করা হয়।
সংবাদ প্রদান করতে চাইলে :
সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় /বিভাগ, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের খবর তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও অন্যান্য অনুমোদিত সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার গ্রহণ করে তাকে। এ ছাড়া যে কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তি সরাসরি কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থার ফ্যাক্স নং ০২-৮১১৩৩৫৯-এ প্রেরণ করা যাবে। এছাড়া দেশব্যাপী বাংলাদেশ বেতারের নগর/জেলা/উপজেলা সংবাদদাতাগণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ খবর নিজেরাই সংগ্রহ করে থাকেন। জনগুরুত্বসম্পন্ন যে কোন খবর প্রচারের জন্য বা মতামত জানানোর জন্য নিম্নেবর্ণিত যে কোন কেন্দ্রে ফোনে শ্রোতারা যোগাযোগ করতে পারেন।
১। কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা, ঢাকা : ৮১৮১৮৯৭, ৮১৮১৯০৯, ৯১০৩০৫৩
২। আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম : ০৩১-৭১২৭০৯
৩। আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী : ০৭২১-৭৭৫৬৭৬
৪। আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক, রংপুর : ০৫২১-৬৩০৯৮
৫। আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক, সিলেট : ০৮২১-৭১৬২১৯
৬। আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক, খুলনা : ০৪১-৭৬২৪৪৭/৭৬২৪৩১
৭। আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক, কুমিল্লা : ০১৭১৫-০২৩৩১২
৮। উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক, বরিশাল : ০৪৩১-৭১৯৭১
৯। উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক, ঠাকুরগাঁও : ০৫৬১-৫৩৫৮০
১০। উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক, রাংগামাটি : ০৩৫১-৭১০০৬
১১। উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক, বান্দরবান : ০৩৬১-৬৩২৭০
১২। উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক, কক্সবাজার : ০৩৪১-৬৩৬৮৬
বাংলাদেশ বেতারের ক্রয় কার্যাবলী :
বাংলাদেশ বেতার একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ বেতারের জন্য ক্রয় এবং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীগণ এ জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ বেতারের এবং সিপিটিইউ এর ওয়েবসাইট দেখতে পারেন এবং কোন তথ্য জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন।
অভিযোগ
বর্ণিত সেবাসমূহ যথসময়ে যথোপযুক্তভাবে না পাওয়া গেলে অথবা সময়মত কোন অনুষ্ঠান শোনা না গেলে বা অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু প্রকরণ ও কারিগরী বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ বেতারের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক ইমেইল/ টেলিফোন এবং পত্র মারফত অভিযোগ গৃহীত হবে। শুধুমাত্র ইমেইল ও পত্র মারফত প্রাপ্ত অভিযোগ সম্পর্কে অনধিক ১০ দিনের মধ্যে উত্তর প্রদান করা হয়।
মহাপরিচালক ৮৬৫১০৮৩
উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) ৮৬১৩৯৪৯
উপমহাপরিচালক (বার্তা) ৮৬৭৪৯৪৩
প্রধান প্রকৌশলী ৮১১৮৭৩৪
পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ৮৬১৬২৫৪