বাংলাদেশ বেতার , ঢাকা শুনতে থাকুন সবখানে সবসময়
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র একটি অস্থায়ী বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবার পর এর নাম বদলে বাংলাদেশ বেতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা থেকে সম্প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ বেতার যা এতকাল রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীর মনোবলকে উদ্দীপ্ত করতে "স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র" অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছিল। যুদ্ধের সময়ে প্রতিদিন মানুষ অধীর আগ্রহে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার জন্য অপেক্ষা করত। জয় বাংলা, বাংলার জয় গানটি এ বেতার কেন্দ্রের সূচনা সঙ্গীত হিসাবে প্রচারিত হতো।
সাতই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। ১৯ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান। ১৯৭১ এর মার্চ মাসের সময়টা ছিলো ভয়ঙ্কর। তারপরও সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোতে পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা কেন্দ্রের কয়েক জন দুঃসাহসী কর্মকর্তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সে ভাষণ সম্প্রচার করেছিলেন। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় শেখ মুজিব যে ভাষণ দেন তা সম্প্রচারের জন্য দুঃসাহসী সেসব কর্মকর্তাদের কাছে জাতি চীর কৃতজ্ঞ। অগ্নিঝরা সেই ভাষণের বিষয়বস্তু পৌঁছে গিয়েছিলো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে। এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির নেতা পাকিস্তান সরকারের সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেন। এ ভাষণের বাঙালির স্বাধিকারের আকাঙ্খাকে আরও উস্কে দিয়েছিলো। আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো জনগণের মনে। পাকিস্তান রেডিওর শাহবাগ কেন্দ্রে প্রবেশ করাটাও কর্মকর্তাদের জন্য ছিল কঠিন এক ব্যাপার। সম্প্রচারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সামরিক সরকার। এসব সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রেডিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ বেতার দেশের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ জাতীয় গণমাধ্যম। ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের এক ভাড়া বাড়িতে একটি ৫ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে তৎকালীন অল ইন্ডিয়া রেডিও-র ঢাকা কেন্দ্র নামে এই ভূখ-ন্ডে বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি - কালের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় সেই বাংলাদেশ বেতার আজ দেশের সর্ববৃহৎ গণমাধ্যম।
১৯৮৩ সালের ৩০ জুলাই ঢাকাস্থ শের-ই-বাংলা নগরে বর্তমান অত্যাধুনিক পূর্ণাঙ্গ জাতীয় বেতার ভবনে বাংলাদেশ বেতারের ঢাকা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হবার পর শাহবাগস্থ ঢাকা কেন্দ্রের সাবেক প্রচার ভবনটি বাংলাদেশ বেতারের সদর দফতরে রূপান্তরিত হয়। পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক হিসেবে বাংলাদেশ বেতার তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারের নীতি, কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা, সর্বউপরি জাতীয় উন্নয়নে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র ও নির্বাচনী ইশ্তেহার বাস্তবায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, বিভিন্ন জনমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্পের সাফল্য এবং জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বেতারের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বৃটিশ শাসনামলে এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও ’৫২র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-র ছয়দফা, ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭১-র মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। এ দেশের ইতিহাসের সকল সঙ্কটকালিন সময়ে বাংলাদেশ বেতার দেশের বৃহত্তম গণমাধ্যম হিসেবে গণমানুষের আশা আকাক্সক্ষার যথার্থ প্রতিফলন ঘটিয়েছে। প্রতিষ্ঠার সময়ে শুধুমাত্র ঢাকার আশেপাশের এলাকার ৮ ভাগ জনগণ এই বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনতে পেত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বেতার তার পথ পরিক্রমায় তিয়াত্তর বছরে পদার্পন করেছে, গড়ে উঠেছে তার নিজস্ব স্থাপনা, বেড়েছে তার আয়তন ও কার্যক্রম, বেড়েছে সম্প্রচার সময়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশ বেতার দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বেতারই একমাত্র ইলেকট্রোনিক প্রচার মাধ্যম, যা দেশের গোটা ভৌগোলিক এলাকার শতভাগ জনগোষ্ঠিকেই কভারেজ দিচ্ছে। উপরন্তু দেশের সীমানা পেরিয়ে শর্ট ওয়েভ ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বাংলার পাশাপাশি ৫(পাঁচ)টি বিদেশি ভাষায় কৃত অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার পৌঁছে দিচ্ছে সার্কভূক্ত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন ভাষাভাষি জনগোষ্ঠির নিকট। বর্তমানে বাংলাদেশ বেতার ১৫টি মিডিয়াম ওয়েব ট্রান্সমিটার, ৩টি শর্ট ওয়েভ ট্রান্সমিটার ও ৩২টি এফ.এম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ৬টি বিশেষায়িত ইউনিট হতে প্রতিদিন প্রায় ৩৮৫ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। জাতীয় সংবাদ, জাতীয় অনুষ্ঠান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের মাননীয় সদস্য বা বিশিষ্ট গুণীজনদের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিক্ষা, উন্নয়নমূলক এবং সংগীত ও বিনোদন প্রতিদিনই প্রচারিত হয়।
দর্পণ:
জাতীয় ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান
প্রচার সময়: প্রতিদিন (শনিবার ব্যতীত) সকাল ৮-৩০ মিঃ
ঢাকা-ক : মধ্যম তরঙ্গ ৪৩২.৯০ মিটার এবং এফ এম ৯৭.৬ মেগাহার্জ
প্রিয় কথা প্রিয় গান:
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীদের সরাসরি অংশগ্রহনে সংগীত বিষয়ক ফোন-ইন-অনুষ্ঠান
ফোনঃ ৮১৮১৯২৫ থেকে ৮১৮১৯২৭ পর্যন্ত এবং ৯১৪৪২০৮
প্রচার সময়: ১ম ও ৩য় বুধবার সকাল ১০-০৫ মিঃ
ঢাকা-ক : মধ্যম তরঙ্গ ৪৩২.৯০ মিটার এবং এফ এম ৯৭.৬ মেগাহার্জ
রোগ জিজ্ঞাসা:
অভিজ্ঞ ডাক্তারদের সরাসরি অংশগ্রহনে ফোন-ইন অনুষ্ঠান।
ফোনঃ ৮১৮১৯২৫ থেকে ৮১৮১৯২৭ পর্যন্ত এবং ৯১৪৪২০৮
প্রচার সময়: প্রতি সোমবার বেলা ২-২০ মিঃ
ঢাকা-ক : মধ্যম তরঙ্গ ৪৩২.৯০ মিটার এবং এফ এম ৯৭.৬ মেগাহার্জ
ক্যারিয়ার লাইন :
তরুন সমাজের ক্যারিয়ার বিল্ডিং-এ পরামর্শমূলক ফোন-ইন অনুষ্ঠান।
ফোনঃ ৮১৮১৯২৫ থেকে ৮১৮১৯২৭ পর্যন্ত এবং ৯১৪৪২০৮
প্রচার সময়: প্রতি মঙ্গলবার বেলা ২-২০ মিঃ
ঢাকা-ক : মধ্যম তরঙ্গ ৪৩২.৯০ মিটার এবং এফ এম ৯৭.৬ মেগাহার্জ
মনো জিজ্ঞাসা :
সামাজিক ও মানসিক বিষয়ভিত্তিক ফোন-ইন অনুষ্ঠান
ফোনঃ ৮১৮১৯২৫ থেকে ৮১৮১৯২৭ পর্যন্ত এবং ৯১৪৪২০৮
প্রচার সময়: প্রতি ২য় ও ৪র্থ বৃহঃবার বেলা ২-২০ মিঃ
ঢাকা-ক : মধ্যম তরঙ্গ ৪৩২.৯০ মিটার এবং এফ এম ৯৭.৬ মেগাহার্জ
ভোর ৬-৫০
আবহাওয়াবার্তা
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
সকাল ৭-০০
বাংলা সংবাদ
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
সকাল ৮-০০
ইংরেজী সংবাদ
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
সকাল ৯-০০
বাংলা সংবাদ
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
সকাল ১০-০০
বাংলা সংবাদ
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
বেলা ১১-০০
বাংলা সংবাদ :
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
বেলা ৩-০০
বাংলা সংবাদ :
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
বিকেল ৪-০০
বাংলা সংবাদ :
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
বিকেল ৫-০০
ইংরেজী সংবাদ
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার
বিকেল ৫-০৫
বাণিজ্যিক সংবাদ
সকল কেন্দ্র এবং ঢাকা-ক, খ ও এফ.এম. ৯৭.৬ থেকে প্রচার